
ফাইল ছবি
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অনলাইন কেনাকাটায় আগ্রহী ক্রেতাদের জন্য এসেছে দুঃসংবাদ। ই-কমার্স খাতে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কমিশনের ওপর ভ্যাট হার বাড়িয়ে ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ, আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি ভ্যাট দিতে হবে এ খাতে।
সোমবার (২ জুন) বিকালে জাতীয় বাজেট উপস্থাপনকালে এই প্রস্তাব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেট ঘোষণার লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ‘অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ে কমিশনের ওপর ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বর্তমানে ঘরে বসেই অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে নানা পণ্যের দাম যাচাই ও অর্ডারের সুযোগ থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে এই মাধ্যমটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে ভ্যাট বাড়ার ফলে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে সাধারণ ভোক্তার ওপর।
ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা। এতে ব্যবসা পরিচালনার খরচ বাড়বে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারেন।
তারা মনে করছেন, এই খাতে বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন উৎসাহিত করতে সরকারকে আরও সহনশীল ও বাস্তবমুখী করনীতি গ্রহণ করা উচিত ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে ই-কমার্স খাতে নীতি সহায়তা জরুরি। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ভোক্তা দুই পক্ষের ওপরই নেতিবাচক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বাজেট পাসের সময় এই প্রস্তাবে কোনো পরিবর্তন আসে কী না।
ইউ