ঢাকা,

০৫ জুন ২০২৫


বাজেটে স্বীকৃতি পেল নারীর অবৈতনিক শ্রম

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯:২৮, ২ জুন ২০২৫

বাজেটে স্বীকৃতি পেল নারীর অবৈতনিক শ্রম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গৃহিণীদের অবদানকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে গৃহস্থালির অবৈতনিক কাজকে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২ জুন) বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘অনেক নারীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল তাদের ঘরের কাজকে অর্থনীতিতে মূল্যায়ন করা হোক। সরকার সেই দাবিকে আমলে নিয়েছে। ভবিষ্যতে কীভাবে তাদের অবদান জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীরা ঘরে যে শ্রম ও সময় ব্যয় করেন, তা অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান এবং স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। আমরা সেই মূল্যায়নের পথ তৈরি করছি।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীর অবৈতনিক গৃহস্থালি শ্রম জাতীয় অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখলেও এতদিন তা উপেক্ষিত ছিল। এবার সেই কাজকে অর্থনৈতিক সূচকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাজেট বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে দক্ষ ‘কেয়ার গিভার’ তৈরির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, বিদেশে কাজের সুযোগ ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেয়ার গিভারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হবে।

এদিন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এ বাজেটের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

এটি বাংলাদেশের ৫৪তম জাতীয় বাজেট, এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে প্রথম বাজেট। এই বাজেটে জনমত গ্রহণেরও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছেসাধারণ জনগণের মতামত নিয়ে বাজেট চূড়ান্ত করা হবে।

এবারের বাজেট নারীর অবদান স্বীকৃতির মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে-যা ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

ইউ

News