
ছবি সংগৃহীত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার জন্য সরাসরি কোনো বিশেষ সুবিধা রাখা হয়নি। তবে নির্দিষ্ট খাতে অতিরিক্ত কর পরিশোধের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত আয় ব্যবহারের সুযোগ থাকছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘এবারের বাজেটে দুটি নির্দিষ্ট সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রথমত, কেউ যদি অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট বা জমি কেনেন, তবে নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় কিছুটা বেশি হারে কর দিয়ে সেই সম্পদ বৈধ করতে পারবেন। এর পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), আয়কর বিভাগ কিংবা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর কোনো তদন্ত চলবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, যদি কেউ নিজের নামে থাকা জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থে বাড়ি নির্মাণ করেন, তবে তাকে দ্বিগুণ হারে কর দিতে হবে। এই কর পরিশোধের পর ওই বিনিয়োগ আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।’
চেয়ারম্যান স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নয়, বরং নির্দিষ্ট খাতে অতিরিক্ত কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যবহারের একটি সীমিত পথ মাত্র। গত বছর (আগস্ট ২০২৪) থেকে কালো টাকা বৈধ করার বিশেষ সুযোগ পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে এবং এবারও সেই নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।’
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার একদিকে অপ্রদর্শিত অর্থের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে চায়, অন্যদিকে বাড়তি রাজস্ব আহরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
ইউ