গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে পিছু হটবো না: খালেদা জিয়া

‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে আমরা পিছু হটবো না’ এমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন।

বক্তব্যের শুরুতে শহীদ জিয়ার স্মৃতিচারণ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রতি বছর মে মাসের এই দিন আমাদের কাছে আসে বেদনাবিধূর এক স্মৃতি নিয়ে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশই হয়ে উঠেছিল বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন। চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশের ইতিহাসে নিজের নাম চিরভাস্মর করে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়া ছিলেন গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠাতা রূপকার। আজও আমরা তাঁর দেখানো পথেই এগোতে চাই। কিন্তু সেই গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, প্রতিনিয়ত বাধা তৈরি করা হচ্ছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন আরো বলেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত দেখতে পাবো। শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। এজন্য আমি দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—এই লড়াই থেকে যেন কেউ পিছিয়ে না পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মধ্য দিয়েই সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব—এই দর্শন আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আর এভাবেই শহীদ জিয়ার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব।’

আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং প্রধান আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

বক্তব্যের শেষে খালেদা জিয়া শহীদ জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতীয় মুক্তির আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।