
বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা।
এসময় ঢাকা সেনানিবাস আবাসিক এলাকা থেকে বিএটি’র অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরী অপসারণ, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ এবং জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নকল বিড়ি ও সিগারেট প্রতিরোধ কমিটি গঠনের দাবি জানান শ্রমিকরা।
বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিড়ি একটি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না। কিন্তু দেশি-বিদেশী কিছু এনজিও এবং বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়ি কারখানা গুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ হচ্ছে। ফলে শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এবং বেকারত্বের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে লক্ষ লক্ষ অসহায় নারী ও পুরুষ শ্রমিক।
বিড়ি শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ২০২২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পে শুল্ক বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা থাকলে সারাদেশের ১৮ লাখ বিড়ি শ্রমিক নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। এছাড়া নকল বিড়ি উৎপাদন এবং বিক্রি বন্ধে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন বলেন, ঢাকা সেনানিবাস আবাসিক এলাকায় বিএটি’র সিগারেট ফ্যাক্টরী পরিবেশ ও জনস্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বিএটি আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবাসিক এলাকায় অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরী পরিচালনা করছে। আমাদের প্রশ্ন হলো, বিএটি কি সরকারের চেয়েও ক্ষমতাশালী? সুতরাং অতি দ্রুত বিএটির অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরী অপসারন, শুল্ক ফাঁকিসহ তাদের সকল প্রকার আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমূখ।
টিএইচ