
নেত্রকোণা জেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসকদের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না জনসাধারণ।
জেলার ৮৬ টি ইউনিয়ন সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, নেত্রকোণায় ৮৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৯টি পরিষদে প্রশাসক রয়েছে। এর মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলায় ১১টি, আটপাড়া উপজেলায় ৭টি, মদন উপজেলায় ৫টি, বারহাট্টা উপজেলায় ২টি পূর্বধলায় ২টি, সদর উপজেলায় ৩টি, দুর্গাপুর উপজেলায় ৫টি, কলমাকান্দা উপজেলায় ৪টি তে প্রশাসক রয়েছে।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের পরিষদের প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারন। প্রশাসকদের অধিকাংশই সপ্তাহে ২/১ দিন পরিষদে যান। কোন কোন প্রশাসক নিজের অফিসে বসেই পরিষদ চালান। যার ফলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনেকটা দূরে উপজেলা পরিষদে গিয়ে নাগরিক সনদ, জন্ম সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য সেবা নিতে আসা নাগরিকরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সময়মতো কাঙ্খিত সেবা দিতে না পারায় নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিষদের দায়িত্ব পালনকারী সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা। আবার কিছু পরিষদের সচিব ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান না থাকায় তাদের ইচ্ছে মতো যা খুশি তাই করে এমন অভিযোগও রয়েছে।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান না থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসা টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের উন্নয়নের নামে হরিলুট চলছে। জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদসহ সবকয়টা ইউনিয়নের প্রকল্প পানির নিচে অথচ বরাদ্দের নামে হরিলুট চলছে, মোহনগঞ্জ বড়তলী বানিহারী, গাগলাজুর ইউনিয়ন, আটপাড়া উপজেলার শুনই, বানিয়াজান, তেলিগাতী ইউনিয়ন নেত্রকোণা সদরের আমতলা, বাংলা, কালিয়ারা গাবরাগাতি, বিশিউড়া ইউনিয়ন পূর্বধলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন সহ গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ, বক্স কালভার্ট, মাঠে মাটি ভরাট করার নামে নামমাত্র কাজ করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রকল্প কমিটিগুলো। এ নিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নেই কোনো মনিটরিং। মেম্বারকে সভাপতি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রাজনৈতিক নেতারা।
অপরদিকে প্রকল্প কমিটিগুলোর অভিযোগ কাজ শেষে টাকা তুলতে হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে নাস্তা খরচ বাবদ টাকা দিতে হয়। এই ভাবেই চলছে গ্রামীণ অবকাঠামোর কাজ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোণা জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, নিবার্হী কর্মকতাদের বলে দিব প্রশাসকরা যেন পরিষদে থাকেন। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর,কাবিখা, কাবিটার অনিয়মের বিষয়টি তিনি নিজে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
টিএইচ