আটকের পর যে কারণে ছেড়ে দেওয়া হলো সাবেক ভূমিমন্ত্রী হীরাকে

জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা ও তাঁর স্ত্রীকে শেরপুরে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আটক করেছে জনতা।

পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জামালপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হলে পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অসুস্থতা ও বয়সের বিবেচনায় থানায় মুছলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক কালের বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে জামালপুর সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় এবং শারীরিক অসুস্থতা ও বয়সের বিবেচনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে থানায় মুছলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তাঁর পরিবারের লোকজন এসে নিয়ে গেছেন‌।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী শেরপুর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমি রেজিস্ট্রির সময় স্থানীয় জনতা রেজাউল করিম হীরাকে ঘিরে ফেলেন। পরে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরাও সেখানে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তাঁরা সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাবেক মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, রেজাউল করিম হীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি জামালপুর-৫ থেকে ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি একসময় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর স্ত্রী সালমা খাতুন জামালপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।