
ছবি সংগৃহীত
ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে পাকিস্তান উচ্চ-গতির বা হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে ভারত।
শনিবার (১০ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম নারী মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কোরেশি।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের বিমানঘাঁটিগুলোর ওপর উচ্চ-গতির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।’
পাকিস্তানের তরফ থেকে দাবি করা হয়, তারা শুক্রবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামের প্রতিশোধমূলক অভিযানে ভারতের অন্তত পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এগুলো হলো—আদমপুর, উধমপুর, পাঠানকোট, সুরতগড় এবং সিরসা।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘রেডিও পাকিস্তান’ ও সংবাদমাধ্যম ‘ডন নিউজ’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলায় ভারতের কয়েকটি সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—দেহরাঙ্গারির আর্টিলারি বন্দুক অবস্থান, রাজৌরির সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উরির সরবরাহ ডিপো এবং কেজি টপ ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্স।
পাকিস্তান আরও দাবি করেছে, তারা ভারতের উপর একইসঙ্গে সাইবার ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হয়।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ভারতের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে থাকা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জেএফ-১৭ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি বিয়াস অঞ্চলে অবস্থিত ভারতের ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্রও ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের ফেডারেল সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলা এখনো চলমান রয়েছে এবং এতে ভারতের উধমপুর ও পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারত এখনো এই হামলাগুলোর বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করেনি। তবে সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের এসব হামলার জবাবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউ