
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগমুহূর্তে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘পুতিন যুদ্ধ বন্ধে যদি রাজি না হয়, তাহলে রাশিয়াকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে আলাস্কায় যাওয়ার পথে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ উড়োজাহাজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৮টার কিছুক্ষণ আগে সফরসঙ্গীদের নিয়ে উড়োজাহাজে চড়েন তিনি।
আলাস্কার সময় সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায়) ট্রাম্প ও পুতিনের বহুল আলোচিত এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সহায়তা দেবে কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন, এটি সম্ভব। ন্যাটোর অংশ হিসেবে না হলেও ইউরোপ ও অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে মিলে একটি সম্ভাবনা আছে।
তবে ট্রাম্প রাশিয়াকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। এ ধরনের শঙ্কার কথা জানিয়ে কিয়েভের বাসিন্দা ইরিনা কোজিরেভা বিবিসিকে বলেন, ‘আলাস্কায় বৈঠকের মাধ্যমে পুতিন যুদ্ধে যে অপরাধ করেছেন সেটির বৈধতা পেয়ে যাচ্ছেন।’
কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে শতাধিক মানুষ। সিএনএন জানিয়েছে, ওই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তারা ভূখণ্ড বিনিময় চান না। বরং বন্দি বিনিময় চান।
তবে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, পুতিন যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতি জানালে পরিণতি কঠোর হবে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে নয়, হাজারো মানুষের জীবন বাঁচানোর স্বার্থে করা হবে।
এদিকে ট্রাম্পের মতো জেলেনস্কিও আলাস্কার বৈঠককে উচ্চ ঝুঁকির বলে উল্লেখ করেছেন।
এক্স পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমরা আমেরিকার ওপর ভরসা রাখছি। দোনেৎস্ক ও জাপোরিঝিয়ায় রাশিয়ার আগ্রাসন রোধে সেনা পাঠানো হচ্ছে। আলাস্কার বৈঠকে এ দুটি অঞ্চল আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে পারে।’
আলোচিত এ বৈঠকের আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গেও কথা বলেছেন জেলেনস্কি। ম্যাখোঁর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আলাস্কার বৈঠক শেষ হলে জেলেনস্কি-ম্যাখোঁ সাক্ষাৎ করবেন।
টিএইচ