
ফাইল ছবি
চলতি জুন মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসেবে)।
রবিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে জুন মাসের শেষে রেমিট্যান্স ২৮০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রাপ্ত এই রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের হুন্ডি প্রতিরোধে নেয়া পদক্ষেপ, প্রণোদনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির কারণে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা সম্ভব হয়েছে।
গত মে মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১.৭ শতাংশ বেশি। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে দেশে একক মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের ইতিহাসে একটি রেকর্ড।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিভিন্ন মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য; জুলাইয়ে ১৯১ কোটি, আগস্টে ২২২ কোটি, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর প্রায় ২৪০ কোটি, নভেম্বর ২২০ কোটি, ডিসেম্বর ২৬৪ কোটি, জানুয়ারি ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারি ২৫২ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিল ২৭৫ কোটি এবং মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬.৭ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে ওই সময়ে ২ হাজার ৩২৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স প্রাপ্ত হয়েছিল।
প্রবাসীদের এই অর্থ পাঠানো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউ