
ফাইল ছবি
আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হচ্ছে না। রোববার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেটের এই সংশোধিত প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটে অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্ল্যাট বা ভবন নির্মাণে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালোটাকা) বৈধ করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে তা বাদ দেওয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াতে চাই না। এ কারণে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হচ্ছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধান ও নৈতিক অবস্থানের দিক থেকে এই ধারা গ্রহণযোগ্য নয়। এতে সৎ করদাতারাও নিরুৎসাহিত হন।’
বাজেটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক:
-
মোট আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা
-
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা (এনবিআর): ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা
-
বাজেট ঘাটতি: জিডিপির ৩.৬ শতাংশ
-
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: ৫.৫ শতাংশ
এবার সংসদ না থাকায় বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের পরিবর্তে টেলিভিশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় গত ২ জুন। বাজেটের প্রস্তাবিত খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ১৯ জুন পর্যন্ত জনমত সংগ্রহ করা হয়। জনমত ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সংশোধনী এনে বাজেটটি চূড়ান্ত করা হয়।
চূড়ান্ত অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে আগামী ১ জুলাই থেকে বাজেটটি কার্যকর হবে। এজন্য আজই দুটি অধ্যাদেশ—একটি বরাদ্দ ও অন্যটি শুল্ক-করের বিষয়ে—জারি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
ইউ