
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার আহ্বায়ক লিখন ইসলাম নাহিদের ওপর একই কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেলের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠেছে।
আজ বুধবার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব শামস উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করে।
হামলার ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জসিম উদ্দিনের অনুসারী তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের ভিতর থেকে ছাত্রলীগের ন্যায় সন্ত্রাসী কায়দায় বেধরক মারতে মারতে টেনে হিচঁড়ে বাইরে নিয়ে যায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। শিক্ষকদের উপস্থিতিতেই অতর্কিত ও কাপুরুষোচিত হামলা চালায়।
হামলার বিবৃতিতে বলা হয়, এই হামলা শুধু একজন ছাত্রনেতার ওপর নয়, বরং এটি একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কণ্ঠরোধের উদ্দেশ্যে চালানো একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং আন্দোলনের অধিকার সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত, কিন্তু এই ধরনের বর্বর হামলা সেই অধিকারকে লঙ্ঘন করে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং কলেজ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের চিহ্নিতকরণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল সভাপতি জসিম ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল, তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ ও আপন খানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সেবিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে কলেজ প্রশাসনের কাছে লিখিত জবাব দাখিল করার কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ সাক্ষরিত এক নোটিশে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন আগে কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব শামস উদ্দিনকে ‘কলিজা ছিঁড়ে নেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি’ দিয়েছিলেন। এরমধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলেজ শাখার সভাপতির উপর হামলার ঘটনা ঘটলো।
টিএইচ