
ছবি সংগৃহীত
ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বড় ধরনের পাল্টা আঘাত হেনেছে তেহরান। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের একটি সেনা ঘাঁটি ও বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদরদপ্তরে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এই হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে জানায় ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম, যা পরে আল জাজিরা-সহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরায়েলের উপকূলীয় শহর হার্জলিয়া, যেটি রাজধানী তেলআভিভের উত্তরদিকে অবস্থিত। শহরটির একটি স্পর্শকাতর ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।
ইরানের দাবি, তারা ‘সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও’ সফলভাবে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও মোসাদের প্রধান কার্যালয় লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে মোসাদ সদরদপ্তরে হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো হার্জলিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা স্বীকার করেছে এবং বলেছে যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা সেখানে লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ১২ জুন রাতে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একক একটি হামলা চালায় ইরানের রাজধানী তেহরান, পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটিগুলোতে। সেই ঘটনার পরই ইরান পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক হামলার হুমকি আসে।
এই পাল্টা হামলা সেই হুমকিরই বাস্তবায়ন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইসরায়েলের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ গঠিত হয় ১৯৪৯ সালে। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তৎপরতায় এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। মোসাদের সদরদপ্তর হার্জলিয়াতেই অবস্থিত বলে বহু আন্তর্জাতিক রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনায় ইতোমধ্যেই দুই দেশের বহু বেসামরিক ও সামরিক সদস্য হতাহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই সরকারিভাবে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দেয়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়ছে নতুন করে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কায়।
ইউ