ঢাকা,

১৭ জুন ২০২৫


খামেনিকে হত্যা করলে ‘সংঘাতের অবসান’ হবে: নেতানিয়াহু

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৪০, ১৭ জুন ২০২৫

খামেনিকে হত্যা করলে ‘সংঘাতের অবসান’ হবে: নেতানিয়াহু

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করলেই ‘সংঘাতের অবসান’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘এটি সংঘাতকে বাড়াবে না বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে।’

এবিসি নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এই সময় নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এই ধরণের (ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা) কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা রয়েছে কিনা? এর জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যা করা দরকার তা করছি।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই শাসকগোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যের সকলকে আতঙ্কিত করে তুলেছে, এই অর্ধ শতাব্দী ধরে আমাদের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে।’

ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইরান ‘চিরকালের যুদ্ধ’ চায়, এবং তারা আমাদের পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল যা করছে তা হল এটিকে বাধা দেওয়া, এই আগ্রাসনের অবসান ঘটানো এবং আমরা কেবল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মাধ্যমেই তা করতে পারি।’’

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায় বাধা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খামেনিকে হত্যার সুযোগ তাদের কাছে ছিল, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাটি আটকে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানায়।

মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে আরও বলেন, ‘ইরানিরা এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেনি। যতক্ষণ না তারা এমনটা করছে, ততক্ষণ ইরানের রাজনৈতিক নেতাদের নিশানা করার কথা ভাবছে না যুক্তরাষ্ট্র।’

এ ব্যাপারে ফক্স নিউজ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অনেক ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে।’ তবে ইসরায়েলের হামলার ফলে ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হতে পারে বলে দাবি করেন নেতানিয়াহু।

তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, সিবিএস নিউজ এবং এনবিসি নিউজসহ আরও বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনাটি এবং ট্রাম্পের বিরোধিতার খবর নিশ্চিত করেছে।

গত ১৩ জুন ভোররাত ৩টার দিকে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি পক্ষে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রসহ ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরানও।

আজ চতুর্থ দিনে গড়াল ইরান–ইসরায়েলের সংঘাত। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছে। আর ইসরায়েলে ইরানের হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন।

টিএইচ

News