ঢাকা,

১৪ আগস্ট ২০২৫


সংবিধান প্রণয়নপদ্ধতি এবং সাংগঠনিক কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্নে গণফোরামের নিন্দা 

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ০০:৩৭, ৭ আগস্ট ২০২৫

সংবিধান প্রণয়নপদ্ধতি এবং সাংগঠনিক কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্নে গণফোরামের নিন্দা 

ফাইল ছবি

জুলাই ঘোষণাপত্রে ১৯৭২ এর সংবিধান প্রণয়নপদ্ধতি এবং সাংগঠনিক কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে যে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে গণফোরাম তার তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বুধবার বিকাল ৫ টায় গণফোরাম সভাপতি পরিষদের এক সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭১ সনের ২৬ মার্চে স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ১০ এপ্রিলের প্রোক্লেমেশন অব ইন্ডিপেন্ডেট এর ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর উহার ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সনে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়। দীর্ঘ ৫৩ বছরে কোন রাজনৈতিক দল বা সরকার ’৭২ এর সংবিধানের প্রণয়ন পদ্ধতি নিয়ে কখনো প্রশ্ন উত্থাপন করেনি।

সভায় বলা হয়, সংবিধান সময়ের প্রয়োজনে জনআকাংখা অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হতে পারে কিন্তু সংবিধানের প্রণয়ন পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে মুক্তিযুদ্ধকেই বিতর্কিত করা হয়। একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী শক্তিই বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং ৭২ এর সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৭২ এর সংবিধানের প্রণয়নপদ্ধতি এবং কাঠামোগত দূর্বলতা নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্রে বিতর্ক সৃষ্টি করার কারণে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকে-ই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শুধুমাত্র ’৭২ সানের সংবিধানকে দায়ী করে পরবর্তী সরকারগুলির রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যর্থতাকে আড়াল করার হীনমানসিকতা পরিলক্ষিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনৈতিক দলের ব্যর্থতাকে কোনভাবেই সংবিধানের উপর চাপিয়ে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না।

গণফোরাম এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান, সভাপতি পরিষদ সদস্য জ্যেষ্ঠ এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, মেজবাহ উদ্দিন,  এডভোকেট সেলিম আকবর, এডভোকেট সুরাইয়া বেগম,  শাহ নূরুজ্জামান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মতামত গ্রহণে বৈষম্য করা হয়েছে। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের দাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্রে ভবিষ্যত রাষ্ট্র ব্যবস্থার কোন রূপরেখা স্থান পায়নি। জুলাই ঘোষণাপত্র একতরফা, পক্ষপাতদৃষ্ট এবং ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা লক্ষণীয়। অন্যদিকে ৩৬ জুলাই উদযাপন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।

টিএইচ

News