ঢাকা,

১৪ জুন ২০২৫


ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৫:৪৭, ১৩ জুন ২০২৫

ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম

ফাইল ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর বিশ্ববাজারে বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম। হামলার খবর প্রকাশের পরপরই তেলের জোগানে বিঘ্ন ঘটতে পারে, এমন শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, ব্রেন্ট এবং নাইমেক্স হালকা অপরিশোধিত তেলের দাম ১০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জানুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ।

বিবিসি বলছে, ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ জ্বালানি সমৃদ্ধ অঞ্চল থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত করতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। অপরিশোধিত তেলের দাম সুপারমার্কেটে খাবারের দাম থেকে শুরু করে সবকিছুর ওপর প্রভাব ফেলে।

এশিয়ান বাজারে তেলের দাম কিছুটা কমে আবার প্রায় ৭.৫% বেড়ে যায়। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৭৪.৫০ ডলার, যেখানে নাইমেক্স ছিল ৭৩.২০ ডলার।

বিশ্লেষকেরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, জ্বালানি ব্যবসায়ীরা এখন লক্ষ্য রাখবেন, আগামী দিনগুলোতে সংঘাত কতটা খারাপ হয়।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, এটি একটি বিস্ফোরক পরিস্থিতি, যদিও এটি দ্রুত নিষ্ক্রিয় করা যেতে পারে। যেমনটি আমরা গত বছরের এপ্রিল এবং অক্টোবরে দেখেছি। তখন ইসরায়েল এবং ইরান সরাসরি একে অপরের ওপর আক্রমণ করেছিল।

প্রতিবেদন বলছে,হরমুজ প্রণালি বিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলের পথ। বিশ্বের মোট জ্বালানির এক পঞ্চমাংশ এই পথ দিয়েই সরবরাহ হয়। চরম পরিস্থিতিতে ইরান যদি হরমুজ প্রণালীতে অবকাঠামো বা জাহাজ চলাচলকে লক্ষ্য করে, তবে প্রতিদিন লাখ লাখ ব্যারেল তেল সরবরাহ ব্যাহত করতে পারে।

প্রতিবেদন বলছে, শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে হামলা হয় তেহরানে। ছয় থেকে নয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয়রা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরে হামলা হয়েছে। হামলা হয়েছে নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায়।হামলার জবাবে ইসরায়েলে ড্রোন ছুড়েছে ইসরায়েলও।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে ইরানের আকাশসীমাও। নেওয়া হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

ইসরায়েলি পক্ষে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রসহ ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে। হামলা অব্যাহত রাখারা ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, হামলা যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণই চালানো হবে। 

হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কঠোর বার্তা দিয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ‘তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক’ পরিণতির জন্য ইসরায়েলকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। আর হামলার পেছেন আমেরিকার কোনো হাত নেই দাবি করে ইসরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ইরান যদি প্রতিশোধ নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।’

টিএইচ

News