ঢাকা,

১২ জুন ২০২৫


ফেসবুক কমেন্ট কেন্দ্র করে হুমকি, ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ০৩:২৮, ১১ জুন ২০২৫

ফেসবুক কমেন্ট কেন্দ্র করে হুমকি, ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ফেসবুকের একটি পোস্টে কমেন্টের জের ধরে হুমকি-ধামকির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যায়। মঙ্গলবার সকালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শাকিল আহমেদের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

শাকিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জামশা গ্রামের নাসিরুদ্দিন আহমেদের ছেলে।

সিঙ্গাইর থানা পুলিশ এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সাত থেকে আট মাস আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্টে একটি কমেন্ট করেন শাকিল। তবে পরে তিনি নিজেই সেটি ডিলিট করে দেন।  এর পর গত সোমবার ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে নতুন করে ভাইরাল হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর স্ত্রীদের নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ ওঠে। অবশ্য তা অস্বীকার করেন শাকিল। 

একইদিন রাতে স্থানীয় বিভিন্ন জন এবং এলাকার বাহিরের অনেকেই শাকিলের বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধমকি দেন। এরপর রাত ২টায় বাড়িতেই নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে শাকিল আত্মহত্যা করেন।

এর আগে ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে শাকিল লিখেছেন, ‘আমি নাস্তিক নই, গ্রামের সবাই আমাকে নাস্তিক বলছে। আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানে, আমি নবী মুহাম্মদকে কোনো কটূক্তি করিনি। আমাকে নিয়ে আমার বাবা অনেক গর্ব করত, গ্রামের সবাই আমাকে অনেক সম্মান করত। আজ আমি আমার নিজের আপন মানুষের কাছে আমার সম্মান হারিয়েছি। আগামীকাল আমার বাবাকে সবাই গালি দিবে, আমার মাকে সবাই অসম্মান করবে, এই লজ্জা আমি কখনো সহ্য করতে পারব না। একটা ছেলে হয়ে নিজের বাবা–মায়ের মানসম্মান আমি এভাবে নষ্ট করে দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে পারব না। কোনো দিন আমি গ্রামে মাথা তুলে চলতে পারব না। আত্মহত্যা মহাপাপ আমি জানি। আমি অনেক পাপ করেছি, আজ আর একটা শেষ পাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’

এই ব্যাপারে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, ‘আজ সকালে বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’

টিএইচ

News