
ভারতজুড়ে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। দেশজুড়ে বর্তমানে সক্রিয় সংক্রমণের সংখ্যা ৬ হাজার ৮১৫ ছাড়িয়ে গেছে। গুজরাটেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২০৩ জন নতুন করে কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন।
এর ফলে গুজরাটে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮১ জনে।
এই মুহূর্তে ২৩ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ১ হাজার ২৫৮ জনকে বহির্বিভাগভিত্তিক চিকিৎসার মাধ্যমে ঘরে থেকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। একই সময়ে ১৪৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
গত তিন দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলে গুজরাট স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, যা জাতীয়ভাবে সংক্রমণ বাড়ার মধ্যেও এক ধরনের ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত ১০ দিনে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা উঠানামা করলেও সামগ্রিকভাবে কমতির দিকে রয়েছে। ১০ জুন রাজ্যে ২২৩ জন আক্রান্ত হন, যা ৯ জুনের ২৩৫ জন থেকে কিছুটা কম। ৮ জুন ১৮৫, ৭ জুন ১৮৩ ও ৬ জুন ১৭০ জনের করোনা ধরা পড়েছিল।
তবে মাসের শুরুতে, ১ জুন, রাজ্যে মাত্র ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এরপর জুনের প্রথম সপ্তাহজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং ১১ জুন পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮১ জনে। এতে স্পষ্ট, ভাইরাস এখনো সক্রিয়ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে আসন্ন বার্ষিক রথযাত্রা সামনে রেখে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। বয়স্ক নাগরিক ও পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের ভিড় এড়িয়ে ঘরে বসে উৎসব উপভোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঋষিকেশ পটেল জনগণকে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং সচেতন থাকার অনুরোধ করেছেন।
করোনার মোকাবেলায় গুজরাট সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। হাসপাতালের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে এবং জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ চলছে। বর্তমানে রাজ্যে ১ হাজার ২০০-এর বেশি সক্রিয় রোগী থাকলেও হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন এমন রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তাই অধিকাংশ সংক্রমণ বহির্বিভাগ-ভিত্তিক চিকিৎসার মাধ্যমে সামাল দেওয়া হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত আপডেট প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং রোগপ্রবণ জনগণের জন্য সতর্কতামূলক নির্দেশনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগ জনগণকে সচেতন থাকার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলে পরীক্ষার হার এবং সুস্থতার নজরদারি আরো জোরদার করা হচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি
টিএইচ