
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সরকার পক্ষের বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে দলের অবস্থান তুলে ধরেন কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি জানান, ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলসহ মোট তিনটি রাজনৈতিক দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। পরদিন আরও ২০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তবে আলোচনার ফলাফল হিসেবে উপস্থাপিত সরকারি বিবৃতিতে নির্বাচনের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় বিএনপি হতাশ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মোশাররফ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি। আমরা বরাবরই একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ দাবি করে এসেছি, যার নেতৃত্ব দেবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই তা নির্বাচন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি চলতে পারে। একইসঙ্গে ফ্যাসিবাদী শক্তি এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের প্রক্রিয়াও চলমান রাখা উচিত।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় এসব বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতি অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর বলেও দাবি করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
সরকারের নিরপেক্ষতার ঘাটতি এবং দুর্বল নেতৃত্ব জনগণের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এখন অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি-দাওয়ার দায় অন্যদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে, যা তাদের নিজেদের ব্যর্থতারই প্রতিফলন।’
এ সময় তিনি বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণের দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, ‘জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে, কিন্তু সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সেই অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আদালতের রায় অনুসারে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশের পরও এখনো শপথগ্রহণের ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিএনপি আশা করছে, সরকার দ্রুত তার শপথগ্রহণ কার্যকর করবে।
ইউ