
গণমাধ্যমে শুধু কনটেন্টের আলোকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তভুক্তি করা যাবে না। প্রজেক্ট মেকানিজম, গণমাধ্যম কর্মী, প্রোগ্রাম অফিসার, ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তভুক্তি করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন সমষ্টির নিবাহী পরিচালক মীর মাসরুরুজ্জামান।
আজ বৃহস্পতিবার বেসরকারি সংস্থা সমষ্টির আয়োজনে ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের সহযোগিতায় 'গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী সমতা বিষয়ক মিডিয়া ফেলোশিপ' ফেলোদের ওরিয়েন্টেশন শীর্ষক কর্মশালায় মীর মাসরুরুজ্জামান একথা বলেন।
ফেলোদের উপস্থাপনা এবং প্রস্তাবনা বিষয়ক পরামর্শ দেন সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী। অংশ গ্রহণকারীদের প্রতিবেদন গুলোর পরিকল্পনা বিষয়ক পরামর্শ দেন একাত্তর টেলিভিশনের চিফ রিপোর্টার শাহনাজ শারমিন। ফিল্ড ওয়ার্ক সম্পর্কে ধারণা দেন সমষ্টির গবেষণা ও যোগাযোগ পরিচালক রেজাউল হক। এছাড়াও কার্যক্রমে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন সমষ্টির জাহিদুল হক খান।
মীর মাসরুরুজ্জামান আরো বলেন, ঢাকা ট্রিবিউনে দুজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কাজ করছেন। আমরা তাদের সাফল্যের কথা গণমাধ্যমে তুলে ধরতে চাই। আমরা যত সহজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূলধারায় নিয়ে আসা, অন্তভুক্তির কথা বলি, তত সহজে বিষয়টির অগ্রগতি হয় না। কারণ আমরা যখন ব্যক্তিগতভাবে এর মুখোমুখি হই, তখন একই জায়গায় অবস্থান করি। নিজের পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে জড়তা, আরস্টতা, মানসিকতার দ্বিধাবোধ কাজ করে। এই পরিবর্তন সময় সাপেক্ষ। এজন্য এই বিষয় নিয়ে অনেক বেশি কথাবার্তা বলা, দৃশ্যমান করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, কাজের অংশ হিসেবে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য এই ফেলোশিপের আয়োজন। এর মাধ্যমে গুণগত পরিবর্তন করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবো। সত্যিকার অর্থে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মর্যাদা, সক্ষমতা তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হবে। ব্যক্তির প্রতিবন্ধিতা নয়, ব্যক্তিকে মানুষ হিসেবে মর্যাদার জায়গায় দেখতে হবে। তবে এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মনে করেন তিনি।
রেজাউল হকের মতে, কিছু কিছু সক্রিয় উপাদান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন পযার্য়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এই উপাদান গুলোকে প্রতিবেদনে তুলে ধরাই হবে মূল লক্ষ্য।
গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী সমতা শীর্ষক ব্যবহারিক নির্দেশিকার ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। মিডিয়ার বিষয়বস্তু এবং কার্যক্রমে প্রবেশগম্যতা অধ্যায়ে বলা হয়,
শুধু মানসম্পন্ন বিষয়বস্তু তৈরিই যথেষ্ট নয়, গণমাধ্যমের বিষয়বস্তুতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করাও জরুরি। এর মাধ্যমে গণমাধ্যম প্রকৃত অর্থে বৈষম্যহীন, ন্যায্য ও নিরপেক্ষ হতে পারবে।
আরো বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক ও বহুত্ববাদী সমাজে প্রতিটি নাগরিকের নীতি-নির্ধারণে অবদান রাখা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমান ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকা দরকার । তাই শারীরিকসহ যেকোনো সীমাবদ্ধতার কারণে কোনো জনগোষ্ঠীর যাতে গণমাধ্যমে প্রবেশগম্যতা বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া জরুরি।
টিএইচ