
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রায় ১৪টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ। সেসাথে হামলায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত প্রত্যেককে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে নিরপেক্ষ বিচার এবং ভবিষ্যতে যাতে আর এই ধরনের একটি ঘটনাও না ঘটে সেই লক্ষ্যে দ্রুত কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নারীপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে নারীপক্ষ।
বিবৃতিতে বলা হয়, পত্রিকা ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে গত ২৬ জুলাই , শনিবার রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক কিশোরকে (১৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঐদিন এবং পরের দিন রোববার বিকেলে ওই কিশোরের বাড়িঘরসহ সেখানকার সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রায় ১৪টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। আবারও হামলার হুমকিতে পুরো এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কিত পরিবারগুলো গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। নিজেরাও অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। অনেকে গরু-ছাগল ও ধান বিক্রি করে দিচ্ছে। অথচ, হামলাকারীদের কাউকেই এখনো পর্যন্ত গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। নারীপক্ষ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, যা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের উপর তীব্র আঘাত। এইসকল ঘটনায় নারীপক্ষ লজ্জিত এবং ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। এর পুনরাবৃত্তি রোধে আমাদের সকলকে উদ্যোগী হতে ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, তবে এই ধরনের ঘটনা বন্ধে সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব সর্বাধিক।
টিএইচ