ঢাকা,

১৬ মে ২০২৫


সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে উত্তেজনা: ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাকিস্তানের

বিজনেস আই ডেস্ক

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯:২২, ১৫ মে ২০২৫

সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে উত্তেজনা: ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাকিস্তানের

ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে পাকিস্তান। সিন্ধু পানি চুক্তি ঘিরে দীর্ঘদিনের বিরোধ নতুন করে উসকে উঠেছে দুই দেশের মধ্যে। ভারত একতরফাভাবে চুক্তি স্থগিত করার উদ্যোগ নিলে ইসলামাবাদ কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানিয়ে এ চিঠি পাঠায়।

পাকিস্তানের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফেডারেল সেক্রেটারি সৈয়দ আলি মুর্তজা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত অবৈধ, ভিত্তিহীন এবং চুক্তির পরিপন্থী। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৬০ সালের চুক্তিতে একতরফাভাবে স্থগিত করার কোনো ধারা নেই। ভারতের পাঠানো নোটিশে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা চুক্তির কোথাও অনুপস্থিত।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সভাপতি অজয় বঙ্গ জানান, “সিন্ধু পানি চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত বা পরিবর্তনযোগ্য নয়। একে বাতিল বা প্রতিস্থাপন করতে হলে উভয় পক্ষের সম্মতি প্রয়োজন।” চুক্তিতে স্থগিতাদেশের কোনো ব্যবস্থাও নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দোষারোপ করে, যদিও ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করে স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানায়।

এর জবাবে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি সামরিক অভিযান।

৬ মে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।

১০ মে ফের পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে হামলা করে দিল্লি।

জবাবে ইসলামাবাদ চালায় ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’, ভারতীয় ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়, যেখানে ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্যেও সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে উত্তেজনা অব্যাহত। কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, “পানি সমস্যার সমাধান না হলে যুদ্ধবিরতি হুমকির মুখে পড়বে। এটি ব্যর্থতা নয়, সরাসরি যুদ্ধের শামিল।”

উল্লেখ্য, ১৫ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হওয়ার কথা জানান। কিন্তু পানি বিতর্ক এবং সামরিক অভিযানের প্রেক্ষিতে চুক্তির ভবিষ্যৎ আবারও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

ইউ

News