জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা ২০২৫’ উদ্বোধন করলেন শহিদ ফাহমিন জাফরের মা কাজী লুলুল মাখ মিন।
তিনি বলেন, “আমার সন্তানের রক্তের সাথে জড়িয়ে আছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান। আজকে এই বইমেলার মাধ্যমে মহান জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে আমরা স্মরণ করছি। সেই সাথে স্মরণ করছি আমার ছেলে ফাহমিন জাফরের মতো সীমাহীন সাহসিকতা নিয়ে যারা তাদের বুক পেতে দিয়েছে স্বৈরাচারের গুলির সামনে, তাদের প্রত্যেককে। এই বইমেলা শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহিদদের স্মৃতির স্মরণই নয়, বরং এক অসীম সাহসী প্রজন্মের ও তাদের দৃঢ় প্রতিবাদ-প্রতিরোধেরও স্মরণ।”
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেল ৫টায় বাংলা একাডেমির সহযোগিতায়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা ২০২৫’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এ বইমেলা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, “গত ১ বছরে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে যে বিপুল পরিমাণ প্রকাশনা হয়েছে, এগুলো ভবিষ্যতের সুবিন্যস্ত গবেষণার জন্য প্রাথমিক উৎস হিসেবে সংরক্ষিত থাকলো। পরবর্তী সময়ে এই প্রকাশনাগুলোই আমাদের অভ্যুত্থানের ইতিহাসকে জিইয়ে রাখবে। আজকের এই ‘জুলাই অভ্যুত্থান বইমেলা’ খুবই স্বাতন্ত্র্য একটা গুরুত্ব বহন করে। জুলাই অভ্যুত্থানের যে বইগুলো রচিত হয়েছে, সেগুলো ফ্যাসিবাদী নানা অপপ্রচারের শক্ত জবাব হিসেবে ঐতিহাসিক তাৎপর্য তৈরি করবে।”
রেজাউল করিম বাদশা বলেন, “এই বইমেলা শুধু একটি বিক্রয় উৎসব নয়, এটি মুক্তচিন্তা চার্চারও উৎসব। কোনো শাসক যদি কখনো আবার মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করতে চেষ্টা করে, তার ভবিষ্যৎ পরিণতি কী হতে পারে এই অভ্যুত্থান তার প্রমাণ এবং সেই প্রমাণ লিপিবদ্ধ হলো জুলাই অভ্যুত্থানের বইগুলোতে। তাই অভ্যুত্থানকে ঘিরে এই বইমেলার গুরুত্ব অনস্বীকার্য বলেই আমার বিশ্বাস।”
মেলা চলবে ৫ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই বইমেলা। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৭ পর্যন্ত। থাকবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে স্মৃতিচারণামূলক বক্তৃতা।
টিএইচ
.png "Halim-&-Firni")
