ঢাকা,

১৮ জুন ২০২৫


প্রতিরোধের সক্ষমতা হারাতে বসেছে ইসরায়েল

বিজনেস আই ডেস্ক

প্রকাশিত হয়েছে: ১৫:২৬, ১৮ জুন ২০২৫

প্রতিরোধের সক্ষমতা হারাতে বসেছে ইসরায়েল

ছবি সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার আগুন আরও এক ধাপ বেড়েছে। টানা ছয়দিন ধরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময়ে রীতিমতো চাপে পড়েছে তেলআবিব। ইরানের বিস্তৃত ও ঘন ঘন হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

বুধবার (১৮ জুন) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর বরাতে আল জাজিরা ও রয়টার্স জানায়, ইরানের টানা হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। এতে করে ইরানের ছোড়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তিনটি স্তরে গঠিত: আয়রন ডোম, ডেভিডস স্লিং এবং অ্যারো সিস্টেম। এর মধ্যে অ্যারো-৩ ব্যবহৃত হয় দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে। তবে একটানা হামলার চাপ এই প্রতিরক্ষা স্তরগুলোকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস আগেই সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের বিষয়ে অবগত ছিল। সে অনুযায়ী ইসরায়েলের স্থল, নৌ ও বিমান প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করেছে ওয়াশিংটন।

ইসরায়েলের এই অ্যারো মিসাইল কর্মসূচি শুরু হয় ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের পর। ইরাক থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া স্কাড ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবিলা করতে তখন যৌথভাবে এই ব্যবস্থা চালু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। অ্যারো ৩ প্রথম ব্যবহৃত হয় ২০২৩ সালে, হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের মজুত ফুরিয়ে আসা প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষয়—দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে দেশটির কৌশলগত অবস্থানকে দুর্বল করে তুলতে পারে। ইরানের অব্যাহত হামলা ও পাল্টা জবাবে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে।

ইউ

News