ঢাকা,

২৮ জুন ২০২৫


সরকারকে অবশ্যই দায় নিতে হবে : রাশেদ খান

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৪০, ২৮ জুন ২০২৫

সরকারকে অবশ্যই দায় নিতে হবে : রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, সরকারের দায়িত্ব ছিল এই এই দেশ থেকে দখলদারিত্ব, চাদাবাজি, দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করা, তদবীর বাণিজ্য বন্ধ করা। তবে সরকার এই কাজে ব্যর্থ বলে মনে করছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে হাজির হয়ে একথা বলেন রাশেদ খান।

রাশেদ খান বলেন, ‘বিভিন্ন বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু দখলদারিত্ব চলছে, যেটা আওয়ামী লীগের আমলে আমরা দেখেছি।

এখন এই যে সুবিধা সুবিধাভোগী গোষ্ঠী, এই গোষ্ঠীর কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে আমরা দেখি নাই। তারা এখন বিভিন্ন দলের পরিচয়ে, সংগঠনের পরিচয়ে, বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের এক ধরনের অপরাধ করছে।’

অপরাধীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধ করছে উল্লেখ করছে জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘এনসিপির একজনের বিষয়টা আমার কাছে এসেছিল এবং আমি পাবলিক করেছিলাম। একদিন দুইদিন পরেই সেই ছেলেটা জামিন পেয়েছে।

এখন সে আবার দল করে কিনা সেটি জানি না। হ্যাঁ, দলের পক্ষ থেকে যদি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে ভালো। কিন্তু দেখবেন যে বিভিন্ন ব্যক্তিগোষ্ঠী তারা নিজেদের স্বার্থেই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের অপরাধে নিযুক্ত হয়। বিভিন্ন জায়গায় দেখবেন যে ডাকাতের একটা গ্রুপ, চাদাবাজির একটা গ্রুপ, সন্ত্রাসীদের একটা গ্রুপ, তারা দলের কোন পথপদবী নাই কিন্তু দলের ছত্রছায়ায় নেতার সাথে থেকে এই কাজগুলো করে।

দলীয় পরিচয় এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে। এগুলো যদি অভ্যুত্থানের পরে সরকার বন্ধ করতে না পারে তাহলে কোন সরকার বন্ধ করতে পারবে? তাহলে সরকারকে অবশ্যই দায় নিতে হবে। সরকারের দায়িত্ব ছিল এই এই দেশ থেকে দখলদারিত্ব, চাদাবাজি, দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করা। তদবীর বাণিজ্য বন্ধ করা।’

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘এই যে সচিবগুলো নিয়োগ পেয়েছে কোন ক্রাইটেরিয়াতে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা যদি এই সরকারে না থাকে তাহলে কিভাবে? এই সরকার তো আমাদেরকে শেখাবে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা।

সেটি তো সরকার আমাদেরকে শেখাতে পারেনি। এই যে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা কি কেউ জানি? এই যে সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আমরা শুনেছি না? সরকারের এপিএসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ওই নির্দিষ্ট মিনিস্ট্রি, তারা কি কোন কমিটি গঠন করেছে? আমাদের দেশে দুদক রয়েছে। এই দুদক কি করছে?’

আওয়ামী লীগের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার না জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, “আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করি নাই’। সাময়িক সময়ের জন্য আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কি পারবে না সেটি নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে। প্রধান উপদেষ্টা দুইদিন আগেও এই কথা বলেছেন।’

টিএইচ

News