
ঈদুল আজহার ফিরতি যাত্রার চতুর্থ দিনেও কমলাপুরে ট্রেনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। আগামীকাল শনিবার শেষ হচ্ছে সরকারি ছুটি। তাই আজ থেকেই চাপ বেড়েছে। করোনা সতর্কতায় আজ থেকে কর্তৃপক্ষ মাইকিং করছে। তবে মাস্ক পরার নির্দেশনা মানছে না কেউ।
আজ শুক্রবার (১৩ জুন) বেলা পৌনে ১১টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র।
এর আগে, গত ৮ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার পর ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে যাত্রীদের অনুরোধ জানায় রেলপথ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছে।
এই কারণে ঈদপরবর্তী ট্রেনযাত্রায় সব যাত্রীকে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
কমলাপুর রেলস্টেশনে এ নিয়ে এত দিন তেমন কোনও পদক্ষেপ না থাকলেও আজ থেকে কিছুটা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।
ট্রেনের সাধারণ নন-এসি বগিতে গাদাগাদি করে ঢাকায় আসছেন স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীরা। কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
বেলা ১১টায় কিশোরগঞ্জ থেকে আসা এগারসিন্ধুর ট্রেনের যাত্রী সাফায়েত বলেন, তিনি পুরো রাস্তা দাঁড়িয়ে এসেছেন। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে এলেও মুখে মাস্ক নেই। তিনি জানান, করোনা সতর্কতার বিষয়টি তার জানা ছিল না।
সৈয়দপুর থেকে আসা আরেক যাত্রী রায়হান বলেন, মাস্ক পরার বিষয়ে কিছু জানেন না, তাই পরেননি।
শুধু তাই নয় টিকিট চেকের দায়িত্বে থাকা টিটিসহ রেলের অধিকাংশ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীর মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি।
শুক্রবার দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছেড়েছে ২৩টি ও এসেছে ১৪টি ট্রেন। শিডিউল বিপর্যয় খুব একটা নেই। শুধু রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে।
তিনি বলেন, যাত্রীদের মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করা হচ্ছে। এই নিয়ে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
টিএইচ