ঢাকা,

০৬ মে ২০২৫


বাংলাদেশ-ইতালি সম্পর্ক নতুনভাবে জাগিয়ে তুলতে চায় রোম

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ২০:২৮, ৫ মে ২০২৫

বাংলাদেশ-ইতালি সম্পর্ক নতুনভাবে জাগিয়ে তুলতে চায় রোম

ছবি সংগৃহীত

ঢাকায় সফররত ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি জানিয়েছেন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি আগামী সেপ্টেম্বরের আগেই বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। তিনি বলেন, রোম চায় বাংলাদেশ-ইতালি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুনভাবে জাগিয়ে তুলতে এবং পুনর্গঠন করতে।

সোমবার (৫ মে) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাতে উভয় দেশের পারস্পরিক আগ্রহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, যার মধ্যে নিরাপদ ও বৈধ উপায়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের অভিবাসন, মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ অন্যতম।

পিয়ান্তেদোসি বলেন, ইতালিতে একটি শক্তিশালী বাংলাদেশি সম্প্রদায় রয়েছে, যারা তরুণ, পরিশ্রমী এবং ইতালীয় সমাজে সফলভাবে একীভূত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আরও বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বাগত জানাতে চাই, তবে তারা যেন বৈধ পথে আসেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশি এখনও অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য হলো—এদের বৈধ উপায়ে ইতালিতে আনা।’ তিনি উল্লেখ করেন, ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অভিবাসন ইতালির জন্য একটি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করেছে। মানবপাচার এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি এবং এ বিষয়ে একটি নতুন সহযোগিতা কাঠামোর প্রস্তাবও দেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশও ইতালির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী, বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার রোধে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞ এবং ইতালীয় সমাজে তাদের যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট। তিনি আরো বলেন, ‘মানবপাচারে অভিবাসীরা নিজেরাই সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী, লাভবান নয়।’

অধ্যাপক ইউনূস আরো স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছিল এবং সেখানে উভয় দেশ মানবপাচার রোধে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছিল।

ইউ

News