ঢাকা,

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫


গৃহকর্মীর সুরক্ষা, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান

তারেক হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত হয়েছে: ২২:২৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গৃহকর্মীর সুরক্ষা, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান

গৃহকর্মীর সুরক্ষা, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সরকার ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।

তারা বলেছেন, সরকার ২০১৫ সালের গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি গ্রহণ এবং আইএলও কনভেনশন ১৮৯ সমর্থন সত্ত্বেও গৃহকর্মীরা আইনগত স্বীকৃতি, চাকরির চুক্তি, ন্যায্য মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষা না পাওয়ায় নানা চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন। তাই সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় এনজিও ফোরাম কনফারেন্স হলে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) ও গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরাম আয়োজিত ‘সময় এখন, গৃহকর্ম ও গৃহকর্মীর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির। শ্রমিক হিসেবে গ্রাম আইনে অন্তর্ভুক্তির’ শীর্ষক সংলাপ এসব কথা বলেন তারা। মোহাম্মদপুর গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরামের সভাপতি হুমায়ারা বেগমের সভাপতিত্বে ও ডিএসকের প্রকল্প কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র অধিকারীর সঞ্চালনায় সংলাপে বক্তৃতা দেন সমাজ সেবা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম ও রাসেল আহমেদ সজীব, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফসিহ উদ্দিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাসরিন আহমেদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, এস আই মমতাজ বেগম, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপের আহসান হাবিব বুলবুল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শিল্পী সাহা, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের শাহিদা পারভীন শিখা,  সুনীতি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আফরিন আক্তার, গৃহকর্মী মর্জিনা সুলতানা প্রমূখ।

সভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গৃহকর্মের কাজ আর অদৃশ্য থাকতে পারে না। এ কাজে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি, তদারকি ও শোষণ-নির্যাতন রোধে শক্তিশালী ব্যবস্থা দরকার। কমিশনের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে ২৮টি সুপারিশ মন্ত্রণালয় ও সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে গৃহকর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত। গৃহকর্মীদের শ্রম আইন ও সামাজিক সুরক্ষা কাঠামোর আওতায় আনতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

জবাবে সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, সরকার গৃহকর্মীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। সরকার তাদের অধিকার নিশ্চিত, ন্যায্য আচরণ ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। আরো বলা হয়, গৃহকর্মীদের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ সরকারী বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। নীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ডাটাবেসর করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।

বক্তারা আরো বলেন, টেকসই পরিবর্তনের মূল হলো সম্মিলিত সহযোগিতা। বিভিন্ন পক্ষ একসঙ্গে কাজ করলে গৃহকর্মীদের দক্ষতা, স্বীকৃতি ও মর্যাদা অর্জনের পথ তৈরি হয়। সুনীতি প্রকল্পসহ সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ এই সহযোগিতাকে আরো শক্তিশালী করছে। গৃহকর্মীদের প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে সরকার, শ্রমিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজের সমন্বয় অপরিহার্য।

টিএইচ

News