
কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না টেকনাফের নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে ডলে ডলে ডুকছে রোহিঙ্গারা। এবার মিয়ানমার থেকে পালিয়ে টেকনাফের জাদিমুড়া সংলগ্ন ২৭ নম্বর ক্যাম্পে অন্তত ৪০ -৫০ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী - শিশু ও যুবকও আছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে এসব রোহিঙ্গারা নাফ নদী সাঁতরে টেকনাফের জাদিমুড়া সংলগ্ন ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কিছু ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায় নারী - শিশু ও যুবক অতর্কিত অবস্থায় দৌড়ে সড়কের দিকে চলে আসে। এসময় তাদের শরীরে কাপড়চোপড় ভেজা ও কাদা মাঠি যুক্ত আবস্হায় দেখা গিয়েছে ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশায় বেশকিছু সংকক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের ওপারের সীমান্তে অপেক্ষা করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি'র এই কর্মকর্তা৷
এব্যাপারে ক্যাম্প ২৬ এবং ২৭ এর ইনচার্জ খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান জানান, কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।
জান্তা সরকার ও সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলমান সংঘাতে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন আরও প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেওয়া এসব মানুষ যেকোনো সময় বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। গত দেড় বছরে রাখাইনে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সংঘাতে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
টিএইচ