
ছবি সংগৃহীত
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় তিন শ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের, বাজাউর ও বাটগ্রাম জেলা। এছাড়া গিলগিট-বালতিস্তান ও কাশ্মীরেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে।
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে তিন শ সাত জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বুনের জেলায় এক শ চুরাশি জন প্রাণ হারিয়েছেন। ভূমিধস, বাড়িঘর ধ্বংস ও সড়ক ভেসে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পাঁচ জন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন।
উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে চ্যালেঞ্জ
প্রায় দুই হাজার উদ্ধারকর্মী নয়টি জেলায় কাজ করলেও অবিরাম বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে তাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ত্রাণ সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ ভারী যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিবহন করা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকে দুর্যোগকবলিত ঘোষণা করেছে খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও সতর্কতা
আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী একুশ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জরুরি বৈঠক করে ত্রাণ তৎপরতা ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে সেনাবাহিনী প্রধান আসিম মুনির ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন।
ইউ