
রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মতপ্রকাশের অধিকার হরণের চেষ্টাকে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়? দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা সেলফ সেন্সরশিপের সংস্কৃতি আমাদের চিন্তা ও প্রশ্ন করার ক্ষমতাকে কতটা ক্ষয় করেছে? আর এই নিয়ন্ত্রণ-চাপ অতিক্রম করে ভবিষ্যতের চিন্তার যে পরিস্ফুটন, তা-ই বা কেমন হতে পারে?
এসব প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করা হলো ‘বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা ২০২৫’-এর তৃতীয় দিনের আলোচনা অনুষ্ঠানে।
আজ শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অতিথি ছিলেন লেখক, গবেষক ও চিন্তক ইমরুল হাসান এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ।
ইমরুল হাসান তার আলোচনায় বলেন, “শুধু রাষ্ট্রীয় চাপ নয়, তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষকে মূল ইস্যু থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কৌশলটিও সেন্সরশিপেরই একটি রূপ। এটি বহুমাত্রিক ও সূক্ষ্ম।”
সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, “ফ্যাসিস্ট শক্তির তরফে যেমন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের প্রয়াস ছিল, তেমনি নিজের স্বার্থে আত্মসমর্পণকারী সাংবাদিকদেরও অভাব ছিল না। ফলে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ তাদের জন্য একটি সহজ কাজ হয়ে উঠেছিল।”
আলোচনায় উঠে আসে, চিন্তার দমন যতই হোক—প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও বিকল্প চিন্তার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে, এবং তাতেই ভবিষ্যতের মুক্ত চিন্তার সম্ভাবনা নিহিত।
এছাড়াও গণআন্দোলন, রাষ্ট্র, ইতিহাস ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা।
টিএইচ