ঢাকা,

২৫ জুলাই ২০২৫


এনসিপির নিবন্ধনই নাই, কীভাবে তাদের সরকার ডাকে: নুর

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ২২:৫১, ২৩ জুলাই ২০২৫

এনসিপির নিবন্ধনই নাই, কীভাবে তাদের সরকার ডাকে: নুর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে বিপুল জনপ্রিয় ও জনসমর্থিত সরকার যদি কোনও নির্দিষ্ট দলের প্রতি হেলে যায়, তাহলে তাদের প্রতি জনগণের সমর্থনও সরে যাবে। যার ফলে আগামীতে কিন্তু প্রশ্ন তৈরি হতে পারে, এই সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা। সেটা আজকের বৈঠকে আমরা সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছি।

আজ বুধবার (২৩ জুলাই) ১৩টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। 

তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, এখনও রাজনৈতিক মাঠে তাদের একটা শক্ত অবস্থান আছে। বিএনপির মত একটি বড় দলের সঙ্গে সরকার আলাপ করতেই পারে, খুব স্বাভাবিক। কিন্তু চারটা দলকে কোন ক্রাইটেরিয়ায় বড় দল হিসেবে সিলেক্ট করল সরকার? গণমাধ্যমের সামনে সেই প্রশ্নও ছুড়ে দিয়েছেন নূর। 

নুরুল হক নূর বলেন, গতকাল রাতে বৈঠকে ডাকা ৪টা দলের মধ্যে তো একটি দলের নিবন্ধনই নাই! সদ্য গঠিত হয়েছে। এই অভিযোগটা আজকে ১৩ দলীয় বৈঠকের সব দলের নেতারাই উত্থাপন করেছেন। আমরা চাই অন্তত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটা নিরপেক্ষ আচরণ এবং এই গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের যথাযথ মূল্যায়ন। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যে আইনজীবী হত্যার ঘটনা ঘটলো চিন্ময় দাসকে গ্রেফতারের পর। যদিও সাধারণ নাগরিকের মত আমরা আঁচ করেছি আগের রাতেই। তেমনিভাবে গোপালগঞ্জেও এমন কিছু ঘটবে তা আমরা আগেই আঁচ করতে পেরেছি। তাহলে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা গোয়েন্দা বাহিনী তা আঁচ করতে না পারে তাহলে তারা ব্যর্থ। না হলে তাদের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় হচ্ছে না। ভবিষ্যতে যেন সরকার এ ধরনের পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকে এবং সামনে এ ধরনের সংবাদ সহিংসতা হতে পারে। আমি সরকারকে আমার দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করেছি। 

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, পতিত স্বৈরাচারী শক্তি বিভিন্ন ইস্যুতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে পৃষ্ঠপোষকতা করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করতে পারে। সেই বিষয়ে আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি এবং তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আরও সক্রিয় করে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারে সেজন্য বলেছি। 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে নুর বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনেক বিষয়ে দুই একটি দল কী বলছে সেটার ওপরে ভিত্তি করে একটা কনক্লুশনে পৌঁছে যাচ্ছে বা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার লাইনে চলে যাচ্ছে। সংস্কার কমিশন বা সরকার যেন বৃহত্তর জন আকাঙ্ক্ষাকে পাশ কাটিয়ে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি বায়াস্ট হয়ে বা চাপে পড়ে এ ধরনের সিদ্ধান্তে না পৌঁছায় সেটি আজকের বৈঠকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

নুরুল হক বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, সংস্কার যে কোনও মূল্যে তিনি বাস্তবায়ন করতে চান। যেকোনও মূল্যে জুলাইয়ে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই অক্ষর ধরে রেখে এই জুলাই মাসেই যেন আমরা ঐক্য চেতনার একটা পুনর্জাগরণ ঘটাতে পারি। মাসব্যাপী উদযাপনে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে পারি সে বিষয়ে তিনি জোর দিয়েছেন সবার প্রতি সহযোগিতা চেয়েছেন।

টিএইচ

News