
ফাইল ছবি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের গুলশানের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে চালানো অভিযানে বিপুল পরিমাণ দামি পোশাক ও বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত জব্দ তালিকায় উঠে এসেছে অবিশ্বাস্য পরিমাণ বিলাসবহুল ও ব্র্যান্ডেড পোশাক-আশবস্ত্র ও আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদির নাম।
জব্দকৃত প্রধান আইটেমসমূহ:
-
শাড়ি: ৪৪৯টি
-
থ্রি-পিস: ২৫০ সেট
-
সালোয়ার-কামিজ: ৪৩৯টি
-
বেডশিট: ১০৯টি
-
শার্ট: ১২২টি
-
প্যান্ট: ২৬৬টি
-
টি-শার্ট: ২৭২টি
-
পাঞ্জাবি: ২৪৮টি
-
পায়জামা: ৪৭টি
-
সুট: ৮টি
-
মোজা (পুরুষ): ৫৩টি
-
মোজা (লেডিস): ৩৪টি
-
লেডিস পার্স: ৩৫৫টি
-
লেডিস টি-শার্ট: ৬৩টি
-
লেডিস টপস: ৬২টি
-
জুতা: ৩৮ জোড়া
-
কেডস: ৭০ জোড়া
-
স্যান্ডেল: ৬৪টি
-
নাইট ড্রেস: ৩৪টি
-
সানগ্লাস: ৩৩টি
-
শাল/চাদর: ৩৬টি
-
গাউন: ৩০টি
-
কোসমেটিকস আইটেম: ৩২টি
-
সামান্যতা (সাধারণ পোশাক): ৩২টি
-
ট্রাউজার: ১৭টি
তালিকায় থাকা এসব আইটেমের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিপুল পোশাক ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী, যা একজন সরকারি কর্মকর্তার প্রকৃত আয় ও জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, এসব জিনিসপত্র জব্দ করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বিশ্লেষণ চলছে। তাদের মতে, এত বিপুল পরিমাণ বিলাসবহুল সামগ্রী কার উৎস বা অর্থের উৎস কী—তা নির্ধারণ করাই এখন মূল লক্ষ্য।
সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব গোপন, অবৈধ উপার্জন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। ইতোমধ্যে তার এবং পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা একাধিক ফ্ল্যাট, জমি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। বেনজীর আহমেদ বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত মাসেও গোপনীয় অনুসন্ধানে তার নামে থাকা কয়েকশ বিঘা জমি, বিলাসবহুল গাড়ি ও ব্যাংক হিসাব চিহ্নিত করেছিলো দুদক, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
ইউ