ঢাকা,

২২ জুন ২০২৫


সোনিয়া গান্ধীর নিবন্ধ

বিজনেস আই ডেস্ক

প্রকাশিত হয়েছে: ১৭:০৫, ২১ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৭:১৩, ২১ জুন ২০২৫

সোনিয়া গান্ধীর নিবন্ধ

ফাইল ছবি

২০২৫ সালের ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা সামরিক অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি শুধু ইরানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন নয়, বরং এটি গাজার নৃশংস আক্রমণের মতোই মানবিক বিপর্যয়ের সূচনা করেছে। এই ধরনের হামলা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শাসনামলে শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। তার সরকার অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ ও উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর সাথে জোট গড়ে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, নেতানিয়াহুর কর্মকাণ্ড ১৯৯৫ সালের ইৎজাক রবিন হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে যা শান্তি প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে।

ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত বছর থেকে কয়েক দফা কূটনৈতিক আলোচনা হয়েছে যা উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না এবং খামেনিই ২০০৩ থেকে পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ রেখেছেন। তবে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন এই শান্তিপূর্ণ উদ্যোগকে বিপন্ন করেছে।

ইসরায়েল নিজে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হলেও, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিষিদ্ধ করার দাবি করছে। ইরান এখনও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির সদস্য হিসেবে নির্ধারিত সীমাবদ্ধতা মেনে চলছিল যতক্ষণ না ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে এই চুক্তি বাতিল করে। এর ফলে গোটা অঞ্চলে অস্থিরতা বাড়েছে।

ভারত এবং ইরানের মধ্যে দীর্ঘকালীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক উত্তেজনা ভারতের চাবাহার বন্দর ও দক্ষিণ-উত্তর পরিবহন করিডোরসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ভারতের নীরবতা এখন নৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বিপজ্জনক সংকেত। ভারতকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করে উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে হবে।

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস স্পষ্ট করেছে, গাজার হামলা ও সেখানকার বেসামরিক জনতার ওপর ইসরায়েলের নৃশংস আক্রমণের বিরুদ্ধে চুপ থাকা যায় না। ৫৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থা এক মানবিক বিপর্যয়। ভারতের উচিত উত্তেজনা কমিয়ে শান্তি ও কূটনৈতিক আলোচনার পথ খোলা রাখা। দ্য হিন্দু

News