ছবি সংগৃহীত
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের মধ্যেই জাতির উদ্দেশে এক বার্তা দিয়েছেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া ওই বার্তায় তিনি বলেন, ‘কঠিন দিনগুলো আমরা কাটিয়ে উঠব।’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান সরকারের প্রতিটি বিভাগকে ইরানের স্বার্থে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও শক্তি দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সব মন্ত্রণালয় এবং সরকারি এজেন্সিকে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ও সম্পদ ব্যবহার করে ইরানের জন্য কাজ করতে বলা হয়েছে। আপনাদের ধৈর্য ও সমর্থন দরকার।”
তিনি আরও বলেন, ‘ঈশ্বরের কৃপায় এবং জনগণের সহানুভূতি ও সংহতির সাহায্যে আমরা এই কঠিন সময় অতিক্রম করব।’
ইরানের নাতাঞ্জ শহরের কাছে অবস্থিত শহীদ আহমাদি রোশন পারমাণবিক স্থাপনায় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, এই স্থাপনাটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতো।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, সেখানে এমন যন্ত্রাংশ ও উপকরণ রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে।
উল্লেখ্য, নাতাঞ্জ ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। ২০০২ সালে এর অস্তিত্ব প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এখানে ৭০টির মতো সেন্ট্রিফিউজের সারি রয়েছে এবং এটি একটি বাংকার-সুরক্ষিত স্থাপনা। এর আগেও একাধিকবার ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্য হয়েছে এই অঞ্চলটি।
অন্যদিকে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন কৌশলগত শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হোলোন, তেল আবিব এবং রামাতগন শহরে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হোলোনে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং রামাতগনে আহত হয়েছেন প্রায় ২০ জন। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার ইরানি হামলায় ইসরায়েলে আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি ছিল ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর “১৪তম শক্তিশালী সমন্বিত হামলা”, তবে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি তারা।
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার এই পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের ঐক্যের আহ্বান এবং সংকট মোকাবেলার বার্তা জাতির মধ্যে সাহস ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউ
.png "Halim-&-Firni")
