
সেনেগালের রাজধানী ডাকারের উপকূল থেকে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কাঠের তৈরি একটি মাছ ধরা নৌকা বা ‘পিরোগ’-এ থাকা ১১২ জন অভিবাসীকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিপজ্জনক রুট দিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছিল।
ডাকার ওয়াকাম জেলার মেয়র আবদুল আজিজ গিউয়ে জানান, স্থানীয় জেলেরা ইঞ্জিনবিহীন পিরোগটিকে ইতস্তত ভাসতে দেখে কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।
তিনি বলেন, জেলেরা নৌকার যাত্রীদের একটি ইঞ্জিন ব্যবহার করতে দেন। এরপর তারা উপকূলের কাছাকাছি আসে। সেখানে নৌবাহিনী তাদের আটক করে।
নৌকার সব আরোহীই তরুণ ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নৌকাটি ঠিক কোথা থেকে যাত্রা শুরু করেছে এবং কেন এতে ইঞ্জিন ছিল না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গিউয়ে।
ওয়াকাম সৈকতে সেনেগালের জেন্ডার্মেরির নজরদারিতে অবস্থানরত এক অভিবাসী রয়টার্সকে বলেন, তারা প্রতিবেশী দেশ গাম্বিয়া থেকে এসেছেন এবং পাঁচ দিন ধরে সমুদ্রে ছিলেন।
পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ইউরোপমুখী অনিয়মিত অভিবাসন আঞ্চলিক কোস্টগার্ডদের জন্য দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ। বিশেষত প্রায়শই অনেকে আটলান্টিক রুট ধরে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
ইউরোপীয় ও পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়লেও অনিয়মিত অভিবাসনের গোড়ায় সমাধান না করায় এ প্রবণতা এখনও বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রচলিত জীবিকার ক্ষতিকে এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করছে।
সেনেগালের কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টহল জোরদার করলেও অভিবাসীরা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ এ পন্থা অবলম্বন করছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব জলযান পুরোপুরি এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার উপযুক্ত হয় না, আবার বাহনগুলোতেও অতিরিক্ত আরোহী নেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
টিএইচ