
ফাইল ছবি
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি জেন-জিদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের পর হেলিকপ্টারে করে দেশ ত্যাগ করেছেন। তার সহকারী প্রকাশ সিলওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, যা রয়টার্স প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
পদত্যাগের পটভূমি
-
রাজধানী কাঠমান্ডুতে চলমান সহিংস বিক্ষোভের দুই দিন পর মঙ্গলবার অলি পদত্যাগ করেন।
-
এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
-
অলি পদত্যাগের আগে সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে ফোনালাপে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য চেয়েছিলেন।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা
-
সেনাপ্রধান জেনারেল সিগদেল জানিয়েছেন, সেনা কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করবে যদি প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেন।
-
সেনাবাহিনী প্রস্তুত ছিল দেশকে স্থিতিশীল করতে, যা প্রধানমন্ত্রী অলি পদত্যাগের পর কার্যকর হয়।
বিক্ষোভের প্রেক্ষাপট
-
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করা হয়।
-
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৮ সেপ্টেম্বর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নেয়।
-
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
-
পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়।
-
আন্দোলনকারীরা এ বিক্ষোভকে ‘জেন-জি রেভল্যুশন’ নামে অভিহিত করেছেন।
নেপালের এই ঘটনায় দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর হঠাৎ পদত্যাগ ও হেলিকপ্টার পালনের ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হয়েছে।
ইউ