
ছবি সংগৃহীত
তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া ‘জেন-জি রেভল্যুশন’-এর চাপ সহ্য করতে না পেরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘিরে জন্ম নেওয়া এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
কেন পদত্যাগ?
অলি তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, সাংবিধানিক পথে সংকট সমাধানের সুযোগ তৈরি করতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, দুই দিনে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার পর তার আর ক্ষমতায় থাকার বৈধতা ছিল না।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
-
৪ সেপ্টেম্বর নেপাল সরকার হঠাৎ করেই ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়।
-
সরকারের এই পদক্ষেপ তরুণ সমাজকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
-
প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হলেও দ্রুত তা সহিংসতায় রূপ নেয়।
-
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
তরুণদের শক্তি
এই আন্দোলনকে বলা হচ্ছে ‘জেন-জি রেভল্যুশন’—যেখানে ডিজিটাল যুগের তরুণরা নিজেদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় রাস্তায় নেমেছে। এটি প্রমাণ করে, নেপালে নতুন প্রজন্ম রাজনৈতিক পরিবর্তনের বড় চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে।
রাজনৈতিক প্রভাব
-
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নেপালের ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
-
অন্তর্বর্তী সরকার বা নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হতে পারে।
-
বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যে তরুণদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে, যা ভবিষ্যৎ নির্বাচনে তাদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে।
-
দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে এটি এক ধরনের বার্তা—ডিজিটাল অধিকার ও স্বাধীনতা প্রশ্নে তরুণরা আর নীরব থাকবে না।
বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা
নেপালের এই অভিজ্ঞতা দেখায়, ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে তরুণদের কণ্ঠ রোধ করা কঠিন। বরং এতে গণবিক্ষোভের ঝুঁকি আরও বাড়ে। বাংলাদেশের তরুণ সমাজও একইভাবে ডিজিটাল স্বাধীনতাকে গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে দেখে।
ইউ