ঢাকা,

১২ জুলাই ২০২৫


ইউক্রেনের জন্য ৫০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা অনুমোদন করলো মার্কিন সিনেট

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৫২, ১২ জুলাই ২০২৫

ইউক্রেনের জন্য ৫০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা অনুমোদন করলো মার্কিন সিনেট

সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেনের জন্য ৫০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটি।

জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন আইনের (ন্যাশনাল ডিফেন্স অথারাইজেশন অ্যাক্ট বা এনডিএএ) খসড়া অনুযায়ী ২০২৬ অর্থবছরের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসাথে এই খসড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের এ-১০ বিমানবহরের বাতিল করাকে সীমিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এনডিএএ হলো মার্কিন সামরিক খাতের বার্ষিক নীতিমালা প্রণয়ন আইন, যা সেনাবাহিনীর জন্য অর্থ বরাদ্দ ও কর্তৃত্ব নির্ধারণ করে। এটি লকহিড মার্টিন ও বোয়িংয়ের মতো অস্ত্র নির্মাতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।

২০২৫ সালের ৯ জুলাই ২৬–১ ভোটে সিনেট কমিটিতে গৃহীত এই খসড়া আইনে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সহায়তা উদ্যোগের সময়সীমা ২০২৮ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ২০২৫ সালের অর্থ সহায়তা নির্ধারিত ৩০ কোটি থেকে ৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। এই উদ্যোগ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে, কারণ ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পর দেশটি এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, জুনে উপস্থাপিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাজেট প্রস্তাবে এ-১০ বিমানবহর বাতিলের যে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, তা এই খসড়ায় প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে এ-১০ বহরে বিমানের সংখ্যা ১০৩টির নিচে নামানো যাবে না। এগুলো মূলত কাছাকাছি অবস্থান থেকে বিমান সহায়তা দিতে ব্যবহৃত হয়।

এনডিএএ’র খসড়া এখন আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। তবে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস তাদের সংস্করণে ইউক্রেনের জন্য আর্থিক সহায়তা ৩০ কোটি ডলারে সীমাবদ্ধ রেখেছে।

পুরো এনডিএএ বিলটি মার্কিন প্রতিরক্ষার জন্য মোট ৯২৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে প্রতিরক্ষা দফতরের জন্য ৮৭৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার এবং জ্বালানি দফতরের জন্য ৩৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনের জন্য অতিরিক্ত ছয় বিলিয়ন ডলার স্থানান্তরের অনুমোদনও রাখা হয়েছে।

এই খসড়া আইন চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলার বিষয়েও গুরুত্ব দিয়েছে। আইনটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ড্রোন প্রযুক্তি ও হাইপারসনিক অস্ত্রের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে মার্কিন সামরিক আধিপত্য ধরে রাখার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

টিএইচ

News