
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। টেলিনর এশিয়ার সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯ জনই কোনো না কোনোভাবে মোবাইলে এআই টুলস ব্যবহার করছেন। এআই প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে দেশের মানুষ ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বুধবার (৭ মে) ঢাকার একটি হোটেলে ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড (বাংলাদেশ)’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, ভবিষ্যতে শিক্ষাখাতে এআইর প্রভাব সম্পর্কেও দেশের ব্যবহারকারীদের মধ্যে আশাবাদী মনোভাব রয়েছে। প্রতি ১০ জনের ৮ জনই মনে করেন, শিক্ষা খাতে এআই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
প্রতিবেদনটি টেলিনর এশিয়ার পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের জুন ও জুলাই মাসে পরিচালিত একটি জরিপের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জিডব্লিউআই, যারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশে—সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম—একই ধরনের জরিপ পরিচালনা করেছে।
জরিপে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার জন মোবাইল ব্যবহারকারীর মতামত সংগ্রহ করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় গোপন রাখা হয় এবং জরিপ চলাকালে টেলিনরের সম্পৃক্ততা জানানো হয়নি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব এক্সটারনাল রিলেশনস অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি মনীষা ডোগরা এবং গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক এআই ব্যবহারে সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিবেদনে মূলত মোবাইল সংযোগের মাধ্যমে আরও স্মার্ট ও নিরাপদ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
ইউ