ঢাকা,

০১ মে ২০২৫


সিম পুনরুদ্ধারে ২৫০ টাকা চার্জ: সরকারি সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এক গ্রাহক

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৬:৩৫, ৭ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ২১:০৭, ৭ এপ্রিল ২০২৫

সিম পুনরুদ্ধারে ২৫০ টাকা চার্জ: সরকারি সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এক গ্রাহক

ছবি: আবু সালেহ মো. ইউসুফের ফেসবুক পোস্টের স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত

মোবাইল হারানোর পর সিম পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারি টেলিকম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ২৫০ টাকা নেয়ার খবর জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এক গ্রাহক। ফেসবুকে তার স্ট্যাটাসে তিনি এ বিষয়টি তুলে ধরেন এবং এই অতিরিক্ত চার্জকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন। তার মতে, আগে সিম পুনরুদ্ধারের জন্য ৫০ টাকা নেয়া হতো, কিন্তু বর্তমানে কেন ২৫০ টাকা? আর তা-ও একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে!

গ্রাহক, আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ তার স্ট্যাটাসে প্রশ্ন তোলেন, ‘পুরানো সিম আর নতুন সিমের মধ্যে আসল পার্থক্য কী!’ তিনি দাবি করেন, পুরানো সিম হারানোর পর যখন নতুন সিম দেয়া হয়, তখন তার টেকনিক্যাল বা কার্যকরী কোনো পরিবর্তন হয় না। সুতরাং, সিমের দাম বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত ২৫০ টাকা আদায় কেন করা হবে? এটি এক ধরনের অযৌক্তিক খরচ, যা গ্রাহকদের জন্য শোষণ ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নিতে গিয়ে যদি জনগণকে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়, তবে তার আর কী উপকার? টেলিটক, যে প্রতিষ্ঠানটি জনগণের টাকায় পরিচালিত হয়, যদি এমন অযৌক্তিক খরচ আদায় করে, তাহলে তার আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কী পার্থক্য থাকে!’ তিনি মনে করেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জনগণের সেবা প্রদান করা এবং তাদের জন্য সাশ্রয়ী সমাধান সৃষ্টি করা।

গ্রাহক ইউসুফের মতে, টেলিটকের উচিত ছিল তার সেবার দাম ও পদ্ধতি আরো সহজ, স্বচ্ছ এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করা। তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিটেকের কাছে জনগণের জন্য কিছু সহানুভূতি থাকা উচিত, কিন্তু এই ধরনের অতিরিক্ত চার্জিং পদ্ধতির মাধ্যমে তা স্পষ্টভাবেই অনুপস্থিত।’

স্ট্যাটাসে তিনি আরো লিখেন, ‘টেলিটককে মনে রাখতে হবে, জনগণের সেবা দিতে গেলে তাদের কাছে দায়বদ্ধতা থাকতে হবে এবং অতিরিক্ত খরচ দিয়ে জনগণকে কষ্ট দেওয়া কখনোই উচিত নয়। যদি সরকারি সেবা এমনভাবে চলতে থাকে, তাহলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তার পার্থক্য কি হবে?’

এটি একটি স্পষ্ট বার্তা, যা সরকারি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আরও মনোযোগী হওয়ার এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির আহ্বান।

ইউ

News