ঢাকা,

০২ জুলাই ২০২৫


মেট্রোরেল ব্যয় কমল ১৮৬ কোটি

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৫:৫২, ১ জুলাই ২০২৫

মেট্রোরেল ব্যয় কমল ১৮৬ কোটি

ফাইল ছবি

মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আরও দেড় বছর সময় লাগতে পারে। ঠিকাদারের বাড়তি ব্যয় দাবির কারণে এই অংশের রেললাইন, বৈদ্যুতিক ও সংকেত ব্যবস্থা স্থাপনসহ অন্যান্য কাজে জটিলতা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ দর-কষাকষির পর অন্তর্বর্তী সরকার ঠিকাদারের প্রস্তাবিত ব্যয় থেকে ১৮৬ কোটি টাকা কমাতে সক্ষম হয়েছে, যা প্রস্তাবিত মূল্যের প্রায় ২৯ শতাংশ কম। ফলে ৪৬৫ কোটি টাকায় এই কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে।

বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল চলাচল করছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার এই অংশের উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণ কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও রেললাইন, বৈদ্যুতিক ও সংকেত ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ট্রেন চলাচল শুরু হতে দেরি হচ্ছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, এই প্রকল্পের মূল কাজ করেছে জাপানের মারুবিনি করপোরেশন ও ভারতের লারসন অ্যান্ড টুবরো। ২০২২ সালে এই সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ২০২৩ সালে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু গত বছর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঠিকাদারের বাড়তি দর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ৬৫১ কোটি টাকার দর থেকে দর-কষাকষির পর গত জানুয়ারিতে ৬৩৪ কোটি টাকা পর্যন্ত নামলেও, নতুনভাবে অন্তর্বর্তী সরকার আরও দর কমানোর নির্দেশ দেয়। কয়েক ধাপে দর কমিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৬৫ কোটি টাকায় আনা হয়।

ডিএমটিসিএলের এমডি ফারুক আহমেদ বলেন, “কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল দ্রুত চালু করাই আমাদের অগ্রাধিকার। পাশাপাশি কম খরচে কাজ শেষ করাও বড় লক্ষ্য। ঠিকাদারের সর্বশেষ দর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব।”

মোট কথা, অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকর দর-কষাকষির কারণে প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ১৮৬ কোটি টাকা কমিয়ে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে সময়সূচির কিছু বিলম্ব রয়েছে যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।

ইউ

News