
ফাইল ছবি
দেশের শেয়ারবাজারে চলছে ধারাবাহিক দরপতনের ধাক্কা। প্রতিদিনই দাম কমছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের, বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ দরপতন আরও প্রকট হয়েছে, ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক নেমে এসেছে প্রায় ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে।
ডিএসইর তথ্যমতে, আজকের লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৭৮১ পয়েন্টে, যা ২০২০ সালের ২৪ আগস্টের পর সর্বনিম্ন। ওইদিন সূচক ছিল ৪,৭৬২ পয়েন্টে।
লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই পতন
বাজার খোলার পরপরই অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ে যেতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির চাপও বাড়তে থাকে। দিন শেষে দেখা গেছে, ৪২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে, কিন্তু ৩১৭টির দাম কমেছে, এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে—
* ভালো (১০% বা তার বেশি লভ্যাংশদাতা) কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ১৯টির দাম, কমেছে ১৮২টির।
* মাঝারি (১০%-এর কম লভ্যাংশদাতা) কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৬৭টির।
* ‘জেড’ গ্রুপের মধ্যে বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৬৮টির দাম।
অন্যান্য সূচকেও পতন
* শুধু প্রধান সূচকই নয়, পতন দেখা গেছে অন্যান্য সূচকেও—
* ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ১৪ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ১,০৩৮ পয়েন্টে।
* ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ১,৭৭০ পয়েন্টে।
লেনদেন কিছুটা বাড়লেও ৩০০ কোটির নিচে
আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৯৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেশি। সর্বাধিক লেনদেন হয়েছে বিচ হ্যাচারির শেয়ারে, যার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে এনআরবি ব্যাংক (৮.৬৮ কোটি টাকা) এবং বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার (৭.৬৩ কোটি টাকা)।
লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে আরও রয়েছে—
* এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড
* সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
* ব্র্যাক ব্যাংক
* সি পার্ল বিচ রিসোর্ট
* উত্তরা ব্যাংক
* সিটি ব্যাংক
* ফাইন ফুডস
* চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও পতন
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৭ পয়েন্ট কমেছে। বাজারটিতে ২০৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১৫১টির, এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি। মোট লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা, আগের দিনের তুলনায় কম।
শেয়ারবাজারের এমন ধারাবাহিক পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে। বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় নীতিগত হস্তক্ষেপ এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।
ইউ