ঢাকা,

১৪ মে ২০২৫


জুনেই আইএমএফের ঋণের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৮:১৪, ১৩ মে ২০২৫

জুনেই আইএমএফের ঋণের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

অবশেষে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বাংলাদেশের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত ঋণের অর্থ ছাড়ে সম্মতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ চলতি বছরের জুনেই পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঙ্গলবার (১৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘জুনে আইএমএফের বোর্ড সভায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৩০ কোটি ডলারের ঋণ কিস্তি অনুমোদন ও ছাড় হবে। আগামীকাল (বুধবার) একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’

আইএমএফের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা শেষে ঋণ ছাড়ে সম্মত হয় সংস্থাটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে দীর্ঘ আলোচনার পর এই সমঝোতায় পৌঁছায় দুই পক্ষ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশেষ করে মুদ্রা বিনিময় হারে নমনীয়তা আনা, অর্থনৈতিক সংস্কারে অগ্রগতি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধির বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে মতপার্থক্য ছিল। তবে এসব বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হওয়ায় ঋণ ছাড়ে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। সাত কিস্তিতে এ অর্থ ছাড় হওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরেই চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইএমএফের নির্ধারিত কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা আটকে যায়। পরবর্তীতে জানানো হয়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ২০২৫ সালের জুনে ছাড় হবে, যদি বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করে।

এ নিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে। সফর শেষে অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে ইতিবাচক বার্তা দেয় সংস্থাটি।

বিশ্লেষকদের মতে, আইএমএফের এই অর্থ ছাড় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারী ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের আস্থাও বাড়াবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা।

ইউ

News