
শেষ সময়ের বেচা-কেনায় সরগরম রাজধানীর পশুর হাট। গাবতলী ছাড়া অনেক হাটে নেই কোরবানির পশু। চাহিদা থাকায় ঢাকার আশপাশ থেকে গরু আসছে বলে বিক্রেতারা।
নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কিনে বাড়ি ফিরছেন নগরবাসী। তবে হাটগুলোতে পশুর দাম বেশি বলে অসন্তোষ জানান অনেক ক্রেতা। হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর বিক্রি ভাল হওয়ায় বিপাকে পড়েন বড় গরুর বিক্রেতারা। অবিক্রিত রয়ে গেছে বেশিরভাগ বড় পশু। ঢাকার দুই সিটির ১৯টি হাটে গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট বেচা-কেনার আশা বিক্রেতাদের।
দেশের বিভিন্ন জেলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। সবগুলো হাটেই বেচা-কেনা ভালো। বড় পশুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি। হাটে অসুস্থ পশু শনাক্তে কাজ করছেন ভেটেরিনারি কর্মকর্তারা।
বগুড়ার মহাস্থান হাট। সবচেয়ে বেশি পশু কেনা-বেচা হয় এখানে। জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ১০৭ হাটে চলছে পশু কেনা-বেচা। এবারও ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
একই চিত্র চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার গৌকোলখালি হাটে। এছাড়া, নয় মাইল হাট ও ডুগডুগি হাটসহ ছোট-বড় অন্তত ১২টি হাটেও বেচা কেনা ভালো। দাম নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতারা।
প্রতিটি হাটে অসুস্থ পশু শনাক্তে কাজ করছেন ভেটেরিনারি কর্মকর্তারা। নজরদারিতে আছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারাও।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এএইচএম শামিমুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের চারটি দল রয়েছে যারা ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে সুন্দর পরামর্শ দিয়েছে। সেখানে কোনো পশু যদি অসুস্থ্য হয় বা অসুস্থ্য থাকে সে বিষয়ে এবং অন্য পন্থায় যদি কেউ পশু মোটাতাজা না করে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
মাদারীপুরের ২৬টি হাটে ঘুরে ঘুরে পশু কিনছেন অনেকে। দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তাদের। গাজীপুরে ৯৩টি হাটে বেচা-কেনা ভালো। এসব হাটে চাহিদা বেশি মাঝারী গরুর। লক্ষ্মীপুরে ব্যক্তি পর্যায়ে পালন করা গরুর চাহিদা বেশি।
খুলনায় গরুর হাটগুলোর সার্বিক নিরাপত্তায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
টিএইচ