ঢাকা,

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫


নীলফামারীতে ইপিজেডে সংঘর্ষ ও শ্রমিক নিহতে এমএসএফ’র উদ্বেগ

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯:৩৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারীতে ইপিজেডে সংঘর্ষ ও শ্রমিক নিহতে এমএসএফ’র উদ্বেগ

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিন নামের একটি কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের জেরে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত এবং অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এর তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এমএসএফ কারখানা বন্ধ ঘোষনা প্রত্যাহারের করে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও বকেয়া বেতন-বোনাস দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে সরকার এবং মালিক পক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি শ্রমিক হত্যার দ্রুত বিচার ও নিহত শ্রমিকদের চিকিৎসার  ও ক্ষতিপূরণের‌ ব্যাবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানাচ্ছে। 

আজ সকাল আটটায় কাজে যোগ দিতে গিয়ে এভারগ্রিন কারখানার শ্রমিকেরা কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। ভেতরে ঢুকতে না পেরে তাঁরা ইপিজেডের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এ অবস্থায় নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁদের সরিয়ে দিতে যান। তখন উত্তেজিত শ্রমিকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিক হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন আরও ১১ জন। আহতদের মধ্যে ৬ জন শ্রমিককে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শ্রমিক হাবিবুর রহমান নাইট ডিউটি শেষে সকালে ইপিজেড থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর সাঈদ জানান, লোকমুখে একজন মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। কেউ মারা গেছেন কি না, এখনো সঠিকভাবে বলতে পারছি না। অপরদিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারহান তানভিরুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাবিবুর রহমানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

শ্রমিকেরা জানান, ইপিজেডের এভারগ্রিন নামের প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ৫১ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে। এ নিয়ে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ অবস্থায় শ্রমিকদের বেতন–ভাতা না দিয়ে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এভারগ্রিন কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে। 

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মনে করে, গার্মেন্টস কারখানাসমূহ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে বেতন–ভাতা না দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য এভারগ্রিন কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের ও তাঁদের পরিবারগুলোকে চরম অনিশ্চয়তার মূখে ঠেলে দিচ্ছে যা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। অপরদিকে মালিক পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্নিবিচারে গুলি চালিয়ে চমরভাবে মানবাধিকার লংঘন করে একজন শ্রমিককে হত্যা ও অপর এগার জন শ্রমিককে আহত করেছেন। সার্বিক বিবেচনায় ঘটনার পূর্ন তদন্তের পাশাপাশি এমএসএফ শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা ও তাদের পূর্নবহালে দ্রুততার সাথে সরকার ও গার্মেন্টস মালিক পক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবি জানাচ্ছে।

টিএইচ

News