
এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে অলিখিত সেমি ফাইনালে তাসকিন-মুস্তাফিজদের তোপের মুখে দেড়শর আগেই থেমেছে পাকিস্তান। ফলে ফাইনালে উঠতে ১৩৬ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করেছে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন মোহাম্মদ হারিস। বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ।
এদিন প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন সাহেবজাদা ফারহান। ৪ বল খেলে ৪ রান করেন তিনি। এটা ছিল টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের ১০০তম উইকেট।
পরের ওভারের চতুর্থ বলে আরও একটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। এবার ফিরে যান সাইম আইয়্যুব। মাহেদী হাসানের বলে মিড অন দিয়ে মারতে গিয়ে সেই রিশাদের হাতেই ধরা পড়েন তিনি। ৩ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে এশিয়া কাপে টানা চতুর্থবার ডাক মারলেন সাইম।
রিশাদের করা সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে লং অফে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ধরা পড়েন ফখর জামান। ২১ বলে ২ চারে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর নবম ওভারের প্রথম বলে হুসেইন তালাতকে ফেরান রিশাদ। এবার ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তালাত। ৭ বলে ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
একাদশতম ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। এবার মোস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সালমান আলী আগা। তার কাটারে পরাস্ত হন সালমান। বল তার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে জাকেরের গ্লাভসে জমা হয়। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নেন জাকের। রিভিউতে দেখা যায় বল ব্যাট ছুঁয়ে যায় জাকেরের গ্লাভসে। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আউট দেন।
মাত্র ১৩ বল খেলে ২ ছক্কায় ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তাসকিনের শিকারে পরিণত হন শাহীন আফ্রিদি। দলীয় ৭১ রানের মাথায় তাসকিনের দেওয়া ফুল টস বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন। সেটি ঠাণ্ডা মাথায় লুফে নেন জাকের আলী।
সপ্তম উইকেটে ২৪ বলে ৩৮ রানের ভালো একটি জুটি গড়ে ফিরলেন হারিস। শেখ মাহেদীর করা ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন। যাওয়ার আগে ২৩ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংস খেলে যান। মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরেন তাসকিনের বলে এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ১৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংস খেলে যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ২০ ওভারে ১৩৫/৮। ফারহান ৪, ফাখার ১৩, সাইম ০, সালমান ১৯, তালাত ৩, হারিস ৩১, আফ্রিদি ১৯, নাওয়াজ ২৫, ফাহিম ১৪*, রউফ ৩*। তাসকিন ৪-০-২৮-৩, মেহেদি ৪-০-২৮-২, তানজিম ৪-০-২৮-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৩-১, রিশাদ ৪-০-১৮-২।
টিএইচ