
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে অভিযানে গেলে ডাকাতরা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এবিপিএন) পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলা চালিয়েছে । পরে ক্যাম্প থেকে বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের সি-ব্লকের বিকাশ মোড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
আটককৃতরা হলেন টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর রশিদ (২৪), নুরুল আমিন (৩০), পেঠান আলী (২৩), মো. সুলতান (২৬), আবুল হাসিম (২৪), মো. সলিম (২৪), মো. শরিফ (২১), মো. ফারুক (২০), ওমর ফারুক (২১), বিবি আয়েশা (২০) ও বিবি ছারা (১৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাউছার সিকদার।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের সি-ব্লকের বিকাশ মোড়ে একদল সশস্ত্র ডাকাত ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছেন। তাৎক্ষণিক এবিপিএনের ৫টি টিম ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন। পরে বল কার্তুজ এবং লিডবল কার্তুজ ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। পুলিশের কৌশলগত অভিযানের পর শীর্ষ সন্ত্রাসী, শীর্ষ ডাকাতসহ ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড রাইফেলের গুলি, একটি লোহার তৈরি তলোয়ার, একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরি রামদা, একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরি চাকু, একটি লোহার স্কয়ারবারের তৈরি দেশীয় অস্ত্র, একটি লোহার তৈরি ছুরি।
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাউছার সিকদার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছেন ৪০/৪৫ জন সহযোগী ডাকাতসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাদের আটক করে নিয়ে আসার পথে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে আরও ফোর্স গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি জানান, আটক ডাকাতদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক এসব রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ এবং ক্যাম্প এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে ক্যাম্প এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং অজ্ঞাত ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ক্যাম্পের অভিযানসহ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।
টিএইচ