
ফাইল ছবি
জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। ১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে আদেশ দেবে ট্রাইব্যুনাল-১।
আজকের শুনানির মূল ঘটনা:
-
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
-
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের পক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী আমির হোসেন শুনানিতে অংশ নেন।
-
গ্রেপ্তারকৃত আসামি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন আদালতে হাজির হন।
আসামি পক্ষের যুক্তি:
আইনজীবী আমির হোসেন অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, "২০২৪ সালে কোনো যুদ্ধ হয়নি; এটি ছিল রাজনৈতিক সংঘাত। ১৯৭৩ সালের আইন এই মামলায় প্রযোজ্য নয়।" তিনি তার ক্লায়েন্টদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
প্রসিকিউশনের বক্তব্য:
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, "মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এই আইনে বৈধ।" গত ১ জুলাই তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উস্কানি, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, প্ররোচনা ও নির্দেশনা—এই পাঁচটি অভিযোগ উপস্থাপন করেন। তার মতে, শেখ হাসিনা টেলিফোনে আন্দোলন দমনে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন বাস্তবায়ন করেন।
পূর্ববর্তী ঘটনাপ্রবাহ:
-
১ জুন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেয় এবং দেশে প্রথমবারের মতো আদালতের কার্যক্রম লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
-
২৪ জুন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নোটিশ জারি করা হয়। তারা হাজির না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দেয়।
পরবর্তী তারিখ:
১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন নিয়ে চূড়ান্ত আদেশ দেবে।
ইউ