
ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম বন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচির প্রভাবে পণ্য খালাস কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
শনিবার (২৪ জুন) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির ফলে বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি জমেছে, আর জেটিতে কনটেইনার ওঠানামার কাজেও ধীরগতি দেখা দিয়েছে।
কার্যক্রমে প্রভাব
-
আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন সম্পূর্ণ বন্ধ
-
আগে নিবন্ধন হওয়া জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানামা চললেও নতুন জাহাজ নিবন্ধন স্থগিত
-
বন্দরের জেটি ও প্রবেশপথে পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি
স্টেকহোল্ডারদের প্রতিক্রিয়া
-
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম: "কাস্টমসের অনুমোদন ছাড়া বন্দরের কোনো কার্যক্রম সম্ভব না। এই শাটডাউন পুরো সাপ্লাই চেইনকে প্রভাবিত করবে।"
-
শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন: "দ্রুত সমাধান না হলে আমদানি-রপ্তানিতে ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে। রপ্তানি শুল্কায়ন বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যেই ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা।"
কেন এই শাটডাউন?
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ ও রাজস্ব খাতের সংস্কার দাবিতে সারাদেশের কাস্টমস অফিসে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৯২% আমদানি-রপ্তানি হয় বলে এখানে প্রভাব সবচেয়ে তীব্র।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষ
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে, তবে কাস্টমস-সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোতে অসুবিধা হচ্ছে। সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউ